সোমবার, ৭ মার্চ, ২০১৬

পেনশন স্কিম চালুর দাবিতে কৃষকদের মতবিনিময়


নিলেশ গায়েন:
 শ্যামনগর উপজেলায় সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রেসক্লাবে কৃষক পেনশন স্কিম চালুর দাবিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

‘যাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারাই জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে খাদ্য, চিকিৎসা ও আবাসিক সংকটে পড়ে অনিশ্চিত জীবনযাপন করে। অথচ দেশের এই বড় অংশের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে সরকারকে কখনো ভাবতে হয় নি। কিন্তু এখন কৃষকের শেষ জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভাবার সময় এসেছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আকবর কবীর।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্রের সভাপতি, চ্যানেল আই পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিরাজুল ইসলাম, বারসিকের নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত সেন, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম, উপজেলা প্রেসক্লাবের  সকর সদস্য বৃন্দ।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী দেশের ৪৭ ভাগ জনগণ সরাসরি কৃষির সাথে যুক্ত থেকে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রকে এই ৪৭ ভাগ জনগণের কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। একই সাথে দুর্যোগ, কমমূল্য ও অনুৎপাদন- সবকিছুর দায়ভার কৃষককে বহন করতে হয়। আবার উৎপাদন খরচ ফসলের বিক্রি মূল্যের চেয়ে বেশি হওয়ায় পরিবারের নতুন প্রজন্ম কৃষিকাজে নিজেদের যুক্ত করতে চায় না।

অপরদিকে, বারসিকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, উৎপাদন খরচ ফসলের বিক্রি মূল্যের চেয়ে বেশি হওয়ায় গত বোরো মৌসুমে অঞ্চলভেদে প্রত্যেক কৃষককে নিজের শ্রমমূল্যসহ ২শ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। আর এর মাধ্যমেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব মতে, ১৯৯১ সালে কৃষিতে ২৫-২৯ বছরের তরুণদের অংশগ্রহণ ছিল ৫২ দশমিক ১ ভাগ। ২০১১ সালে তা এসে দাড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৯ ভাগ। আবার, ১৯৯১ সালে কৃষিতে ৭০ বা তার চেয়ে বেশি বছরের বৃদ্ধদের অংশগ্রহণ ছিল ৬৭ দশমিক ৩ ভাগ। ২০১১ সালে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৫ দশমিক ১ ভাগ।

সভায় বক্তারা জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে একজন কৃষকের অসহায় জীবনযাপনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রে সর্বাধিক অবদান রাখা কৃষক সমাজের জন্য অবিলম্বে পেনশন স্কিম চালুর দাবি জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন