আজিজুর রহমান: শ্যামনগর উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়ন ব্যাপী চলতি বছর অনুকুল আবহাওয়া আমন ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ জুড়ে সোনালী শীষের ছড়া-ছড়ি। কিন্তু কৃষকের মুখে হাসি নেই। তাদের মুখে যেন অনামিশার কালোমেঘ ভর করেছে। কাঙ্খিত ফলন হলেও দাম না থাকায় কৃষকের এ অবস্থা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ মাত্রা হেক্টর প্রতি ২.৭১ মে.টন। উবশি জাতের ১৫ হাজার ৮’শ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২’শ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। তন্মধ্যে বি,আর-১০ জাতের ৩২’শ হেক্টর, বিআর-১১ জাতের ১২’শ হেক্টর, বিআর-২২ জাতের ১৩’শ, বিআর-২৩ জাতের ৩৮’শ, বিআর-৪১ জাতের ১৫০, বিআর ৪৯ জাতের ১৮৩০, বিআর-৫১ জাতের ৪২, বিআর ৫২ জাতের ৪৮, বিআর-৫৪ জাতের ৪৫, বিনা-৭ জাতের ২১০ এবং সিআর জাতের ৫২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বালাইয়ের আক্রমন কম এবং অনুকুল আবহাওয়ায় প্রত্যেক জাতের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষী আকবর ও আব্দুর রউফ সহ অনেকেই জানান, ধার দেনা করে জমিতে চাষ করেছি। কিন্তু আশানুরুপ দাম না থাকায় লোকসান হবে। খোজ নিয়ে আরও জানা যায় বর্তমানে প্রতি বস্তা ধান সাড়ে ৮’শ থেকে ৯’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মধ্য স্বত্বভোগী ফড়িয়া চক্রের অপতৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। মুলত ফড়িয়া চক্রের কারসাজিতে কৃষকরা বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হলেও প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই। কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন করবে এটাই সর্ব সাধারনের প্রত্যাশা। নইলে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহ হারাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন