বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

ঐতিহাসিক মন্দির দর্পন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নীলেশ গায়েন: বাংলাদেশের প্রাচীন মন্দির যশোরেশ্বরী কালী মন্দির, শ্যামা পুজা উপলক্ষ্যে কার্তিকী অামাবশ্যার নিকসকালো আঁধারের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এবং পুলিশ সুপার চৌধুরী মজ্ঞুরল কবীরের ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী পীঠ মন্দিরে আগমনে পুলকিত হয় ওঠে আগত হাজারো ভক্ত দর্শণার্থী। এ সময় মন্দির অঙ্গনে দাঁড়িয়ে গবেষক অরবিন্দ মৃধার লেখা ‘ঐতিহাসিক মন্দির দর্পণ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। এর আগে শ্যামনগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসীন-উল-মুলক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্য বহনকারী এই প্রাচীন যশোরেশ্বরী মন্দির সংস্কারে সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও যশোরেশ্বরী মন্দিরের অধিকারী জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, তার ভাই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও লেখক গবেষক জ্যোতি চট্রপাধ্যায়, গ্রন্থকার অরবিন্দ মৃধা বক্তব্য রাখেন। চৌধুরী মনজুরুল কবীর বলেন, অমাবশ্যার কালোর মত অন্ধকারকে আলোকিত করার প্রতিকী হিসবে এই দিপাবলী ও শ্যামাকালী পূজা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। অন্ধকার আমাদের কাম্য নয়। জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, দিপাবলী, শ্যামাকালী, লক্ষিপুজা, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব গুলি একই সূত্রে গাঁথা। এই যশোরেশ্বরী মন্দির এ অঞ্চলের প্রাচীন জনবসতির ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি বহন করছে, এর সংস্কার ও সংরক্ষনের ব্যাপারে আমরা যত্নবান থাকব। গত ১০নভেম্বর মঙ্গলবার রাতের শেষ প্রহরে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগরের এ সি (ভূমি) আহসান উল্লাহ শরিফী, সার্কেল অফিসার (কালিগঞ্জ) মীর মনির হোসেন সহ শ্যামনগর কালিগঞ্জ দেবহাটা সাতক্ষীরার পুলিশ কর্মকর্তাগন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন