রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫

ভূয়া সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে

শেখ আবু আজিম: কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মিতাকে ফুশলিয়ে বিয়ে করলো ভূয়া সেনা কর্মকর্তা পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করা প্রতারক মতিউর রহমান। শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মাষ্টার আব্দুস ছবুরের কন্যা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মিতাকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ে করল একই ইউনিয়নের রমজাননগর গ্রামের আলহাজ্জ্ব মোক্তার গাজীর পুত্র মতিউর রহমান (৩০)। মিতার পরিবার সুত্রে জানা যায় নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে নিজেকে সেনা কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ ৩-৪ মাস ধরে প্রেমের ফাদে ফেলে মিতাকে গোপনে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বেশ কিছুদিন বিয়ের খবর গোপন রাখার পর বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। মিতার বাবা জানান, মতিউর রহমান নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দেয় এবং মিতার সাথে যখন সে দেখা করত তখন তার পরিধানে থাকত সেনাবাহিনীর পোষাক। শুধু তাই নয় নিজের নাম ক্যাপ্টেন রায়হান রাজু ও পিতার নাম আব্দুর রাশেদ গাজী এবং ঠিকানা- গ্রাম লক্ষ্মীনাথ পুর, উপজেলা কালিগঞ্জ পরিচয় দিত। স্থানীয়রা জানায় প্রতারক মতিউর রহমান এর আগেও সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে ২টা মেয়েকে ফুশলিয়ে বিয়ে করে এবং পরবর্তীতে নিজ পরিচয় ফাঁশ হলে ছাড়াছাড়ি হয়। আরো জানা যায় সুদর্শন মতিউর রহমানের ১ স্ত্রী বর্তমান এবং তার ৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। বিষয়টি নিয়ে মিতার পরিচয় আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানিয়েছে। এদিকে ভূয়া সেনা কর্মকর্তার পরিচয় ফাঁশ হওয়ার পর সে গা ঢাঁকা দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন