সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫

ইজতেমা উপলক্ষ্যে মত বিনিময় সভা



এস কে সিরাজ: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অনুষ্টিতব্য ইজতেমার প্রস্তুতি মুলক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন,   আজ সকালে শ্যামনগরের সৃজনশীল ইউএনও আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম। এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন,সাতক্ষীরা-৪ আসনের এম পি শ্যামনগরের গন মানুষের অভিভাবক এস এম জগলুল হায়দার। এ ধরনের একটি ধর্মীয় অনুষ্টান শ্যামনগরের মাটিতে অনুষ্টিত হওয়ায় আয়োজক কারী সহ সকল ধর্ম প্রান মুসলমান ভাইদের কে তিনি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারী মহসীন কলেজের অধ্যক্ষ মোল্ল্যা ইয়াহিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান পারভীন ঝরনা, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ইনামুল হক, উপজেলা প্রকোশলী মোঃ মফিজ উদ্দীন,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা,প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবীর সহ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানগন, সরকারী কর্মকর্তা, ডাক্তার সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আয়োজক ধর্মপ্রান মুরববীগন।

রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

শ্যামনগরে কৃষি খামার পরিদর্শন করলেন এম পি জগলুল হায়দার


এস কে সিরাজ:  সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংষদ সদস্য এর পরামর্শে শ্যামনগরের সৃজনশীল ইউএনও আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় দৃষ্টিনন্দন পার্কে একটি আধুনিক কৃষি খামার তৈরীর কাজ অব্যহত ভাবে চলছে।আজ রোববার সন্ধায় সাতক্ষীরা-৪ আসনের মাননীয় এম পি এস এম জগলুল হায়দার ওই কৃষি খামার পরিদর্শন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগরের ইউএনও আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসীন- উল মুলক,সাবেক যুবলীগের সম্পাদক প্রভাষক মোঃ মোশরাফ হোসেন।

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

শ্যামনগর হায়বাতপুর কৃষিবাড়ী পরিদর্শনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক


নিলেশ গায়েন:
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ গাজী আব্দুল মান্নান  গতকাল পরিদর্শণ করলের শ্যামনগর হায়বাতপুর কৃষি বাড়ী। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা থেকে জি,এম,এ আব্দুল গফুর, শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিঞা, উদ্ভীদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ নূর আলী। গতকাল শ্যামনগর সদরের হায়বাতপুর আই, সি,এম মডেল কৃষি ক্লাব ও কৃষি নারী সংগঠনের, প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা জৈব উদ্ভীদ কৃষি খামার, ভেষজ উদ্ভীদ সংরক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। কবিরাজ জাহাঙ্গীর আলম ও এফ.টি. ফরিদা পারভীনের পরিচালানয় সবজি ও ফল বাগান, ৮৬ প্রকার স্থানীয় জাতের ধান গ্রবেষনা প্লট, স্থানীয় প্রজাতির ২৬ প্রকার মাছ, ২৮ প্রকার অচাষ কৃত উদ্ভীদ, ৩৫০ প্রকার ভেষজ উদ্ভীদ, জৈব, ভার্মী কম্পোজ, সার তৈরীর হাউস, আর আছে স্ট্রোবেরী ও এ্যালোভেরা প্রদর্শনী প্লট, উপ-পরিচালক দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুরে ঘুরে দেখে অভিভূত হন। শুধু এই নয়, প্রতিদিন বিভিন্ন সরকারী, বে-সরকারী, এনজিও ও শত শত স্কুল,কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে কৃষি কার্যক্রম দেখতে আসে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

সবজি ও মৎস্য চাষ বিষয়ক তিন দিনের প্রশিক্ষণ


গােলাম মাস্তফা লাভলু:
শ্যামনগর উত্তরণ সংস্থার আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে অপরাজেয় প্রকল্প শ্যামনগর কেন্দ্রের আওয়াতায় দলীয় সদস্যদেরক ২৪ নভেম্বর হতে ২৬ নভেম্বর ৩ দিন ব্যাপী সবজি ও মৎস্য চাষ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ শেষে হয়েছে।
দলীয় সদস্যদের কর্ম সংসস্থানের লক্ষ্যে উত্তরণ শ্যামনগর কার্যালয়ে প্রশিক্ষনে ৩০ জন নারী সদস্য অংশ গ্রহন করে। প্রশিক্ষক ছিলন উপজেলা কৃষি অফিসার উপ সহকারী পরিদর্শক মােঃ নূরআলী বিশ্বাস, মােঃ মাহফুজুল হক, মসফিকুল ইসলাম। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উত্তরণ। 

প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে এক ব্যক্তি হাসপাতালে


গােলাম মােস্তফা লাভলু:
জবর দখলের লক্ষ্যে জাের পূর্বক ধান কাটায় বাধা দেওয়া জবর দখল কারিদের রাম দায়ের আঘাতে খাগড়া দানা গ্রামের মােহাম্মাদ আলী খান গুরতর আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। মামলার প্রস্তুতি চলছ।
এলাকা সূত্রে জানাযায় গতকাল  খাগড়াদানা গ্রামের- মৃত- নাছির উদ্দীন খানের-পুত্র মােহাম্মাদ আলী খানের জমিতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বেলা ৩টায় জবর দখলকারীরা একই গ্রামের- মৃত অফাজ উদ্দীন খানের- পুত্র মাসুম, আইয়ুব আলী, মারুফ জাের পূর্বক ধান কাটতে থাকে। মােহাম্মাদ আলী খান বাধা দেওয়ায় দখল কারিরা রাম দা দিয়ে মাহাম্মাদ আলীকে কুপিয়ে গুরতর জখম করে। স্থানীয়রা মােহাম্মাদ আলীকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। 

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫

সুন্দরবনে দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা: ৮ টি নিরাপদ রুট নির্ধারণ


নীলেশ গায়েন:
সুন্দরবনে প্রতিবছরের ন্যায় রাসমেলা উপলক্ষে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ৩ দিন ব্যাপী রাস পূর্ণিমার পূর্ণস্নান অনুষ্ঠিত হবে। তীর্থস্থানে দর্শনার্থী ও তীর্থ যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য  পশ্চিম বনবিভাগ ৮ টি পথ নির্ধারণ করেছেন।এ সকল পথে বনবিভাগ,পুলিশ,বিজিবি ও কোষ্টগার্ড  দর্শনার্থীদের জানমালের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। প্রশাসনের অনুমোদিত পথগুলো হলো বুড়িগোয়ালিনী, কোবাতক ষ্টেশন থেকে বাটুলা নদী-বলনদী-পাটকোষ্টা-হংসরাজ হয়ে দূবলার চর। কদমতলা ষ্টেশন থেকে ইছামতি-দোবেকী-আড়পাঙ্গাসিয়া কাগা দোবেকী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী /চাঁদপাই ষ্টেশন থেকে পশুর নদী দিয়ে দুবলার চর।বগী/বলেশ্বর/সুপতি ষ্টেশন থেকেকচিখালী -ছেলারচর হয়ে দুবলার চর। শরণখোলা/ সুপতি ষ্টেশন থেকে ছেলার চর হয়ে দুবলার চর। দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীরা ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর ৩ দিনের জন্য অনুমতি প্রদান করা হবে এবং প্রবেশের সময় এন্ট্রিপথে নিদৃষ্ট ফি প্র্র্র্র্রদান করতে হবে। যাত্রীরা যে কোন রুটে দিনের বেলায় যাতায়াত করতে পারবেন। বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, ট্রলার লঞ্চ থামানো যাবেনা। প্রতিটি ট্রলারের গায় রং দিয়ে বিএলসি নম্বর লিখতে হবে। পূর্ণার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা নাগরিক সনদপত্র সাথে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষন করে এমন বস্তু মাইক বাজানো,পটকা ফোটানো বিষ্ফোরক দব্য, দেশীয় যে কোন অস্ত্র এ আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে। পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ সকল তথ্য জানানো হয়েছে

রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫

শ্যামনগরে বেড়িবাঁধ ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভা


নীলেশ গায়েন:
শ্যামনগরে বুড়িগোয়ালীনি ইউপির বি,জি কলেজ বেড়িবাঁধ ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮.০০ টায় বুড়ি গোয়ালীনি বেড়িবাঁধ ব্যবস্থাপনা কমিটির দাতিনাখালী নারী উন্নয়ন ক্লাবে এমসির সভাপতি, ইউপি সদস্য সাজিদা বেগমের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিতাস খুলনা অঞ্চলের  বেড়িবাঁধ ব্যবস্থাপনা কমিটির সুন্দরবন প্রকল্পের পিও সঞ্জীব মন্ডল, কারিতাস ডিএম বিভাগের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার হারুন-অর-রশিদ, জিআই  জেড এর কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়র সুভাস চন্দ্র শীল, কারিতাস এসডিবিসি প্রকল্পের গোলাম মোস্তফা। অতিথিগণ বক্তব্যে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধকে টেকসই ও স্থায়িত্বশীল করতে জনগণের তথা বেড়িবাঁধ এলকার বসবাস কারীদের সচেতন ও আন্তরীর হওয়ার দরকার। আমরা ইএমসির দাবী অনুযায়ী বি,জি কলেজ বাঁধকে আরও টেকসই ও স্থায়িত্বশীল করতে পারকো পাইন এর কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একাজটি বাস্তবায়নের জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতার আহবান জানান। এসময় আরো  উপস্থিত ছিলেন বেড়িবাঁধ ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ ও কারিতাসের রবিন গাইন ও প্রশান্ত মুন্ডা, মিজানুর রহমান,সনজিত সরদার, দেবব্রত মন্ডল সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
ছবিঃ শ্যামনগরে ইএমসির মাসিক সভায় বক্তব্যরত অতিথি বৃন্দ।

শ্যামনগর উপজেলা বাস্তুহারা লীগের সভা


নীলেশ গায়েন: আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে বাস্তুহারা লীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামনগর উপজেলা বাস্তুহারালীগের সভাপতি মোকছেদ আলী সভাপতিত্বে  প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এস,এম, আতাউল হক দোলন, সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক স.ম. আব্দুস সাত্তার, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি এস,এম খলিলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ, উপজেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি এস,এম কামরুল হায়দার নান্টু, শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বাবু, সহ ১২টি ইউনিয়নের বাস্তুহারা লীগের সভাপতি সম্পাদক সহ সকল পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা বাস্তুহারালীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা। 

শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫

সাইনবোর্ডের ব্যবহার করে চলছে বানিজ্য

নীলেশ গায়েন :
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অফিসের সাইন বোর্ডের আড়ালে চলছে বিপুল পরিমান অর্থ বানিজ্য মৎস্য দপ্তরের সরকারী মৎস্য কর্মকর্তা  শেখ হফিজুর রহমান ও ক্ষেত্র সহকারী আনিছুর রহমানের নামে বিপুর পরিমান ঘুষের টাকা গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু দিন ধরেই তারা দুইজনে যোগ সাজসে ২০১৫ সালের প্রায় শতাধিক ডিপোর লাইন্সেস বাবদ ৪১০০ শত টাকা থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। যেখানে মাত্র ২,৩০০টাকা। যে সকল ডিপু মালিককের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন তার হলেন বংশীপুর বাজারের আরীফ ফিস,আল-আমিন ফিস, মনোয়ারা ফিস সহ অন্যান্য ডিপো হতে এধরণের তথ্য পাওয়া গেছে এবং বংশীপুর বাজরে কিছু ডিপো মালিক অভিযোগ করে যে, আমাদের কাছে সরকার নির্ধারিত ২,৩০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও ২০১৫ সালের লাইন্সেস বাবদ নিচ্ছে ৫,০০০ টাকা করে নেওয়ার পরেও আমাদের কোন প্রকার লাইন্সেস দেওয়া হয়নি উজ্বল ফিস, মনোয়ার ফিস, রহমান ফিস, এ ফিস এব্যাপারে তারা অফিসে জানতে চাহিলে নানা রকম তালবাহনা করেন বলে জানান। তারা আরো জানান যে চিংড়ী ঘেরের লাইন্সেস বাবদ বিপুল পরিমান টাকা আতœসাৎ করা হচ্ছে যে খানে সরকারের নীতি মালায় কোন প্রকার লেনদেন ছাড়াই অনুমোদন দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের কাছ থেকে ও মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হচ্ছে। 

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

দিনব্যাপী শিশু মেলা অনুষ্ঠিত

অনাথ: আজ শ্যামনগর উপজেলার ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে লোকাল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এন্ড কমিউনিটি ইস্পাওয়ারমেন্ট (এলসিবিসিই) প্রোগ্রামের সহায়তায় দিনব্যাপি শিশু মেলা অনুষ্ঠিত হয়।মেলা উদ্বোধন করেন মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল। বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ খুলনা বিভাগের প্লানিং ও মনিটরিং প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ আমান উল্লাহ ও মোঃ জামিল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা এলসিবিসিই কমকর্তা মোঃ আসাদ,রুপান্তরের ম্যানেজার হুমায়ন কবীর,সাংবাদিক রনজীত বর্মন, বিশিষ্ট দানবীর রনজীৎ রপ্তান প্রমুখ।মেলায় বিভিন্ন এনজিও সংস্থা স্টল দেন। স্টল গুলোতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এবারে শিশু সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "শিশু গড়বে সোনার দেশ,পায় যদি সে পরিবেশ"।

দক্ষিন বাদঘাটার সোলিং রাস্তার সংস্কার

স্টাফ রিপোর্টার:শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড দক্ষিন বাদঘাটা সংলগ্ন সাবেক পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আলহজ্ব আব্দুল জব্বার সাহেবের বাড়ীর সামনের জরার্জীন সোলিং রাস্তাটি সংশ্লিষ্ট্য ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস কে সিরাজের নেতৃত্বে দ্রুুত সংস্কার করা হয়েছে।
যার কারনে ওই এলাকার যাতয়াত ব্যাবস্থার সমস্যা অনেকটা দুর হয়েছে।

সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫

শ্যামনগর মহিলা কলেজ ও মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন জরার্জীন সোলিং রাস্তা মেরামত করছেন প্যানেল চেয়ারম্যান এস কে সিরাজ

স্টাফ রিপোর্টার: শ্যামনগর মহিলা কলেজ ও মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন জরার্জীন সোলিং রাস্তা মেরামত করছেন প্যানেল চেয়ারম্যান এস কে সিরাজ । চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় তাৎক্ষনিক ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় শ্যামনগরের নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আতরজান মহিলা কলেজ ও আনোয়ারা খাতুন মহিলা মাদ্রাসার সামনের সোলিং
রাস্তাটি মেরামত করা হচ্ছে। এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী কলেজ ও মাদ্রাসায় যেয়ে থাকে। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করায় এলাকাবাসী সহ ছাত, অভিভাবক স্থানীয় ইউপি মেম্বর সাংবাদিক এস কে সিরাজ কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

কৃষি শ্রমিকের অধিকার শীর্ষক কর্মশালা

গােলাম মােস্তফা লাভলু: সােমবার সকালে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সংবাদিকদের সাথে বে-সরকারী সংস্থা আইডিয়ালের আয়ােজন ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযােগিতায় কৃষি শ্রমিকের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতায় আইডিয়ালের শ্যামনগর কার্যালয়ে এক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার প্রেসক্লাবের সভাপতি জি, এম, আকবর কবীর, সাধারন সম্পাদক জাহিদ সুমন সহ প্রসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আইডিয়ালের ট্রেনিং এ্যান্ড মনিটরিং অফিসার মােঃ শহিদুল্লা সরদার বিষয়ের উপর দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন। বর্তমান সমাজে নারীদের অধিকার ও দ্বায়িত্ব কর্তব্য, নারী শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়ন, নারী শ্রমিকের ক্ষমতায়ন ও মজুরী বৈষম্য দূরিকরণে এই সব বিষয়ে কথা বলেন। তিনি আরাে বলেন প্রকল্পের আওতায় নারী শ্রমিক সদস্যদের দারিদ্রতা দূরিকরণ ও স্বছলতা আনায়ন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইডিয়ালের পক্ষ থেকে ছাগল পালন গৃহায়ন সবজী চাষ, মাছ চাষ ও কাঁকড়া চাষ প্রশিক্ষন দিয়েছেন। দেশের শ্রমিকদের ৪৭ থক ৫২ শতাংশ নারী শ্রমিক। বিশেষ করে সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে শ্রম বা শ্রমিক আইন নারী শ্রমিকের সম মজুরী, সম অধিকার আইন/নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি জানান। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আইডিয়ালের জুনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা মাঃ আবুল কালাম আজাদ।

চিংড়ীতে ভেজালের মদদ দাতা মায়ের দােয়া ফিস এর দৌড় ঝাপ

নীলেশ গায়েন: বংশীপুরে মায়ের দােয়া ফিসের মালিক মহাদেব বাবু নিজস্ব মাছ ডিপােতে বাগদা চিংড়ীতে বিভিন্ন অপদ্রব্য ভজালের মদদ দেওয়ায় জেল জরিমানা হওয়ায় দৌড় ঝাপ করছে। সূত্রে জানা যায়, গত ১১জুন সকালে মায়ের দােয়া ফিস বাগদা চিংড়ী ডিপােতে আটা সাবুর মত বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ হচ্ছে এমন গােপন সংবাদের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মী ঘটনাস্থলে পৌছে ৪জনক পুশ করতে দেখে ক্যামরায় দৃশ্যটি ধারন করেন। পুশকারীরা উক্ত দৃশ্যটি দায়িত্বরত গনমাধ্যম কর্মীকে মুছে ফেলতে অনুরোধ করে। সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গণমাধ্যম কর্মীকে মারপিট করে ক্যামেরা, মােবাইল, পত্রিকার পরিচয় পত্র সহ প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত ৮জুন গণমাধ্যম কর্মী সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিঃ শিমুল কুমার বিশ্বাসের আদালত বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ৩৯২ ধারায় সি আর ১১৮/১৫ শ্যামনগরে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান দুই আসামী গােলাম মােস্তফা কামাল ও হান্নান জেল হাজতে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হওয়ায় মায়ের দােয়া ফিস্ ডিপার মালিক মহাদেব বাবু জেল জরিমানার ভয় প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ছুটা ছুটি করছেন।

ওয়ার্ড পরিকল্পনা সভা-২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার: আজ বিকাল ৩ টায় শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত দ্বিতীয় লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট এল জি এস পি - ২ সহ সকল প্রকার ওয়ার্ড পরিকল্পনা সভা-২০১৫, ২ নং ওয়ার্ড মাহমুদপুর আনছার ভিডিপি ক্লাব চত্তরে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরিকল্পনা সভার সভাপতিত্ব করেন ২ নং ওয়ার্ড এর ইউ পি সদস্য জি,এম তৈমুর আলম। সভায় প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৩নং শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শেখ লিয়াকত আলী, আরও উপস্থিত ছিলেন ১,২,৩নং ওয়ার্ডের সদস্যা মোছা: ছফুরা বেগম, সাংবাদিক মো: মাসুদ উন নবী সাহেদ এবং ২নং ওয়ার্ড বাসী।
পরিকল্পনা সভায় এলাবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তার মধ্যে অতিব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গুলোর কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন চেয়ারম্যান শেখ লিয়াকত আলী।

রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫

ভূয়া সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে

শেখ আবু আজিম: কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মিতাকে ফুশলিয়ে বিয়ে করলো ভূয়া সেনা কর্মকর্তা পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করা প্রতারক মতিউর রহমান। শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মাষ্টার আব্দুস ছবুরের কন্যা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মিতাকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ে করল একই ইউনিয়নের রমজাননগর গ্রামের আলহাজ্জ্ব মোক্তার গাজীর পুত্র মতিউর রহমান (৩০)। মিতার পরিবার সুত্রে জানা যায় নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে নিজেকে সেনা কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ ৩-৪ মাস ধরে প্রেমের ফাদে ফেলে মিতাকে গোপনে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বেশ কিছুদিন বিয়ের খবর গোপন রাখার পর বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। মিতার বাবা জানান, মতিউর রহমান নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দেয় এবং মিতার সাথে যখন সে দেখা করত তখন তার পরিধানে থাকত সেনাবাহিনীর পোষাক। শুধু তাই নয় নিজের নাম ক্যাপ্টেন রায়হান রাজু ও পিতার নাম আব্দুর রাশেদ গাজী এবং ঠিকানা- গ্রাম লক্ষ্মীনাথ পুর, উপজেলা কালিগঞ্জ পরিচয় দিত। স্থানীয়রা জানায় প্রতারক মতিউর রহমান এর আগেও সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে ২টা মেয়েকে ফুশলিয়ে বিয়ে করে এবং পরবর্তীতে নিজ পরিচয় ফাঁশ হলে ছাড়াছাড়ি হয়। আরো জানা যায় সুদর্শন মতিউর রহমানের ১ স্ত্রী বর্তমান এবং তার ৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। বিষয়টি নিয়ে মিতার পরিচয় আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানিয়েছে। এদিকে ভূয়া সেনা কর্মকর্তার পরিচয় ফাঁশ হওয়ার পর সে গা ঢাঁকা দিয়েছে।

শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঝাড়ুদার দিয়ে কলেজ ছাত্রের আঙ্গুল অপারেশ

শেখ আবু আজিম: শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়–দার দিয়ে চলছে ছোটখাটো শৈল্য চিকিৎসা। কর্তব্যরত চিকিৎসকের নির্দেশে ঝাড়ুদার দিয়ে কলেজ ছাত্রের হাতের আঙ্গুলে জন্মানো আচুলি অপরারেশন করায় চিরদিনের জন্য আঙ্গুল হারাতে বসেছে হতদরিদ্র পরিবারের কলেজ ছাত্র শাহিনুর আলম। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র জানায়, আঙ্গুলের আচুলিয় অপারেশনের জন্য গত ২৬ ফেব্র“য়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ গোপাল বিশ্বাসের স্মরনাপন্ন হয়। ডাঃ গোপাল চন্দ্র তাকে কিছুক্ষন বসিয়ে রেখে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ঝাড়ুদার আশরাফ আলীকে আচুলি অপরারেশ করার জন্য নির্দেশ দেয়। এ সময় শাহিনুর আলম আশরাফ আলীর দ্বারা অপারেশনে আপত্তি জানালে ডাঃ গোপাল বিশ্বাস বলেন, “এধরনের ছোটো খাটো অপারেশন আশরাফ আলীই যথেষ্ঠ”। ঐদিন সকাল সাড়ে ১১ টায় ঝাড়ুদার আশরাফ আলী শাহিনূরের আঙ্গুলের অপারেশন করে যেনো তেনো ভাবে ব্যান্ডেস করে বিদায় দেয়। সপ্তাহ খানেক পরে ঐ আঙ্গুলে ইনফেকশান দেখায়ে যা পচনে পরিনত হয়। এ সময় শাহিনুর আলম ডাঃ গোপাল বিশ্বাসের কাছে গেলে তিনি আঙ্গুলের দূর অবস্থা দেখে অঙ্গুল কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়। শাহিনুর আলম আরো জানায়, অপারেশনের পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দৈনিক ৪টি করে এন্টিবায়োটিক সেবন করে। শাহিনুরের অভিযোগে আরো জানা যায় অপারেশনের সময় ডাঃ গোপাল বিশ্বাস জরুরী বিভাগের পাশে অবস্থিত ওয়েটিং রুমে টিভিতে বাংলাদেশ ভারত ক্রিকেট খেলা দেখায় মত্ত ছিলেন। আঙ্গুলের অবস্থার অবনতিতে শাহিনুর আলম একই হাসপাতালের অপর শৈল্য চিকিৎসক ডাঃ সুজিত বাবুর স্মরনাপন্ন হলে তিনি প্লাস্টিক সার্জারীর পারামর্শ দেন এবং বলেন যে, জুরুরী ভাবে প্লাস্টিক সার্জারী না করলে আঙ্গুলটি চিরদিনের জন্য হারাতে হবে। এমতাবস্থায় ডাঃ সুজিত বাবু শাহিনুর আলমের আঙ্গুলে প্লাস্টিক সার্জারীরর মাধ্যমে শরীরের অন্যস্থান থেকে চামড়া নিয়ে ঐ আঙ্গুলে স্থাপন করে আঙ্গুলের আকৃতিটা বজায় রাখে কিন্তু আঙ্গুলটি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ শাহিনুর আলম অল্প কিছু পয়সা জোগাড় করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতের তামিল নাড়ুতে অবস্থিত সি, এম, সি, হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানায় যে, লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে। শাহিনুর আলম যথারিতী দেশে ফিরে আসে এবং শ্যামনগর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ গোপাল বিশ্বাসকে ঘটনাটি জানায় ডাক্তার এটা একটি দূরঘটনা বলে মন্তব্য করেন। এখন শাহিনুর আলম দিশে হারা হয়ে পড়েছে কোথায় পাবে এত পয়সা। এব্যাপারে শাহিনুর আলমের পিতা অজিয়ার রহমান জানান, আমার পুত্র শাহিনুর আলম পড়ালেখার ফাকে ফাকে কম্পিউটারের কাজ করতো তা থেকে নিজের লেখাপড়া খরচ জুগিয়ে পরিবারে কিছু সহযোগীতা করত। আঙ্গুল নষ্ট হওয়ার কারনে এখন সে আর কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারছেনা। তাছাড়া চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ টাকা জোগাড় করাও সম্ভব না। এখন তার প্রশ্ন হলো, “আমার ছেলে আঙ্গুল ফিরিয়ে দেবে কে? সরকারী হাসপাতালে শৈল্য চিকিৎসার দায়িত্বকি ঝাড়–দারদের?

চোর আটক করে পুলিশে সোপর্দ

গোলাম মোস্তফা লাভলু: শ্যামনগরে বুড়িগোয়ালীনি ইউপি কলবাড়ি বাজারে এক চোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল বেলা ২ টার দিকে কলবাড়ি বাজারে জুঁই ষ্টোর নামক দোকানে চুরি করার সময় তাকে আটক করা হয়। আটককৃত চোরের নাম আঃ সবুর (৪৫) সে শ্যামনগর সদরের লুৎফর মোড়লের ছেলে। জুঁই ষ্টোরের মালিক আঃ জলিল জানায় দুপুরে খাওয়ার পর দোকানে চেয়ারে বসে ঘুমানোর সময় উক্ত চোর তার দোকানের মধ্যে ঢুকে তার কাছে থাকা হরেক প্রকারের চাবি দিয়ে দোকানের ক্যশ বাক্স খোলার চেষ্টা করে। শব্দ শুনে মালিকের ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং লোকজন ডাকাডাকি করে চোরকে আটক করে। চোরের কাছে জানতে চাইলে সে একজন পকেটমার বলে নিজেকে দাবি করে। পরবর্তীতে সংশ্লীষ্ট ইউপির গ্রাম পুলিশের সহায়তায় শ্যামনগর থানায় প্রেরন করা হয়। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার এস আই শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, উক্ত চোরের শারিরীক অসুস্থতার জন্য শ্যামনগর সদর হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন আছে।

টেকসই বেঁড়িবাধ সুরক্ষায় জনসচেতনতা মূলক নাটক প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার:
বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের বি,জি কলেজ মাঠে এসডিবিসি সুন্দরবনস্ প্রকল্পের আওতায় দাতা সংস্থা জি আই জেড এর অর্থায়নে টেকসই বেঁড়িবাধ সুরক্ষায় জনÑসচেতনতা মূলক নাটক প্রদর্শনী অনুষ্ঠীত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ বন বিভাগের সহযোগীতায়, কারিতাস খুলনা অঞ্চল আয়োজিত টেকসই বেঁড়িবাধ ব্যাবস্থাপনায় সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক নাটক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইএমসি সহÑসভাপতি মোঃ আতিয়ার রহমান মোড়ল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য, ইএমসি সভাপতি সাজিদা বেগম, জি আই জেড এর কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুভাস চন্দ্র শীল, কারিতাসের রবিন গাইন, প্রশান্ত মুন্ডা, সঞ্জিত সরদার, দেবব্রত মন্ডলসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গোলাম মোস্তফা লাভলু। অনুষ্ঠানে নাটক প্রদর্শনীর মাধ্যমে টেকসই বেঁড়িবাধ ও সুন্দরবন সুরক্ষায় জনÑসচেতনতা মূলক বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হয়।

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

একান্ত সাক্ষাতকারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম। সততা ও দক্ষতার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সব মহলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার কাজে রয়েছে সৃজনশীলতার ছোয়া। এজন্য সৃজনশীল নির্বাহী কমকর্তারা খ্যাতি পেয়েছেন। সম্প্রতি তিন সুন্দরবন বার্তার মুখোমুখি হয়েছিলেন। একান্ত সেই আলাপচারিতায় তিনি তার নিজের সম্পর্কে, এলাকার উন্নয়নে তার পরিকল্পনা ও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সুন্দরবন বার্তার পাঠকদের জন্য সেই আলাপচারিতার চৌম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো। সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছেন আমাদের স্টাফ রিপোর্টার : মাসউদ-উন-নবী সাহেদ।
সুন্দরবন বার্তা : প্রশাসনিক কমকর্তা হিসাবে আপনি বেশ জনপ্রিয়, যেটা সাধারণত ব্যতিক্রমী ঘটনা, এটা কিভাবে সম্ভব হলো? ইউএনও : আসলে প্রশাসনিক কমকর্তা হিসাবে জনপ্রিয় এটা আমি প্রথম শুনলাম। এটা আমার জন্য Pleasure। আসলে জনপ্রতিনিধিরাই জনপ্রিয় হয়। প্রশাসনিক কমকর্তারা জনপ্রিয় হয় এটা Rear ঘটনা। এটা যদি সত্যি হয় তবে আমার দায়বদ্ধতা আরো বেড়ে গেল। এটা ভবিষ্যতে কাজ করায় আমাকে সহায়তা করবে। আমি যেটা করি সেটা হলো, এটা জনগনের অফিস এখানে যদি জনগনের কথা মূল্যায়ন করা হয় তবে কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়। সুন্দরবন বার্তা : এই জনপ্রিয়তার মূল কারন কি? আপনার ব্যাক্তিত্ব,কাজ,নাকি সততা? ইউএনও : খুব ভাল একটি প্রশ্ন করেছেন। এটি সবমিলেই, ব্যক্তিত্ব, কাজ, সততা। ঘাটতি থাকলে এর পূর্ণতা আসবে না। ব্যক্তিত্ব যেমন সবাইকে সমান চোখে দেখা, আইন কে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা। যখন যে কাজ তা সঠিক ভাবে গুরুত্ব অনুসারে করা। কাজটাকে পরিপূর্ণতা নিয়ে করা। আর সততা তো থাকতেই হবে। সুশাসন এর জন্য সততা অবশ্যই প্রয়োজন। সুন্দরবন বার্তা : ব্যক্তি জীবনে আপনি কেমন? ইউএনও : ব্যক্তি জীবনে কেমন এটি কঠিন একটি প্রশ্ন। আসলে যারা আমার সাথে মেশে তাঁরাই ভাল বলতে পারবেন। ব্যক্তি জীবনে টক, ঝাল, মিষ্টি, মন্দ, ভাল মিলেই আমি মানুষ বলে মনে করি। সুন্দরবন বার্তা : আপনি কি কাওকে ফলো করেন? ইউএনও : আমি আমাদের অনেক সিনিয়ার অফিসার দের ফলো করি। আমি প্রথম যখন চাকরিতে জয়েন্ট করি তখন প্রথম ডিসি ছিলেন গাজী মো: জুলহাজ আমি ওনাকে ফলো করি। যশোরে যখন ছিলাম তখন যশোরের জেলা প্রশাসক ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান তাকেও আমি ফলো করার চেষ্টা করি। আমার একটি বড়ো ভাগ্য হলো আমি যত ডিসি স্যার দের আন্ডারে কাজ করেছি সবাই খুব ভাল। বর্তমান ডিসি নাজমুল আহসান স্যার তিনি একজন Extraordinary প্রশাসক Innovative একজন প্রশাসক Creative প্রশাসক, তার আন্ডারে কাজ করে তাকেও ফলো করার চেষ্টা করি। সুন্দরবন বার্তা : আপনার পূর্বের কর্মস্থল যশোরের কেশবপুর, সেখানেও কি এমন জনপ্রিয় ছিলেন? ইউএনও : এটা বলা মুশকিল। এটা কেশবপুর এর জনগণ বলতে পারবে, আমি বলতে পারবো না। সুন্দরবন বার্তা : দেশের উন্নয়নে প্রশাসনিক কমকর্তাদের সততা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনি মনে করেন? ইউএনও : দেশের উন্নয়নে শুধু প্রশাসনিক কর্মরতা না, এটি সবার জন্য সব প্রতিষ্ঠানের জন্য। সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে সততা একটি Integrator আমাদের অনেক গুলো Integrator তার মধ্যে সততা একটি Integrator এটা সবার মধ্যে থাকতেই হবে। সুন্দরবন বার্তা : আপনার উদ্যোগ ও কাজে সৃজনশীলতার ছোয়া পাওয়া যায়, সে জন্য আপনি সৃজনশীল নির্বাহী কমকর্তার খ্যাতি পেয়েছেন। এই সৃজনশীলতা আপনার মধ্যে কিভাবে এসেছে? ইউএনও : আসলে সৃজনশীল বলতে ইংরেজিত Creativity বলে। এই Creativity সবার মধ্যেই আছে। একটি বাচ্চার মধ্যেও Creativity থাকতে পারে। Creativity হচ্ছে একটি Mental process যখন এটি। বাস্তবে রুপ দেওয়া হয় Productive process যখন আসবে তখন এটি Innovation হয়। উদ্ভাবন হয়, আমরা কিছু উদ্ভাবনি কাজ করছি। এর জন্য আমাদের উপজেলা পরিষদ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কমকর্তা, আমাদের জাতীয় সংসদ সদস্য, আমাদের বিভাগীয় কমিশনার, আমাদের জেলা প্রশাসক আমরা এক যোগে কাজ করছি। এখন যুগই হচ্ছে Innovation এর যুগ। আমরা যেটা বিশ্বাস করি Innovation for all Innovation by all এর মূল মন্ত্রে আমরা কাজ করছি। এই কাজ করছি বলেই উদ্ভাবনি কাজ গুলো এখন দৃশ্যমান হচ্ছে এবং সেটি সবাই গ্রহন করছে। এই জন্য মনে হয় এই ধরনের প্রশ্ন আসছে।
সুন্দরবন বার্তা : শ্যামনগরের উন্নয়নে আপনার নেয়া উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গুলো কি কি? ইউএনও : আমি এখানে জয়েন্ট করার পর যেটা দেখেছি এখানে যে সম্পদ গুলো আছে সে গুলো যদি সঠিক ব্যবহার করতে পারি তবে এই অঞ্চলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অন্য কারো কাছে হাত পাতাতে হবে না। আমাদের এখানে সম্পদের মধ্যে আপনারা জানেন আমাদের ''ম্যান গ্রোভ ফরেষ্ট'' সুন্দরবন। এটি বিশ্বখ্যাত, অনেক দেশ ইচ্ছে করলেও কিন্তু তাদের হবে না। এটা আমাদের এবং এর ৬০% হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের। আবার বাংলাদেশের ৬০% হচ্ছে শ্যামনগরের সবচেয়ে কাছে। এটা কিন্তু আমরা জানাতে পারিনি বিশ্বের কাছে। এটাকেও যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি পর্যটনের মাধ্যমেই হোক বা এ অঞ্চলের উন্নয়নের মাধ্যম দিয়েই হোক। তবে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তার মধ্যে বেকার সমস্যা সমাধান, এই অঞ্চলের পশ্চাৎপদতা। যদি আমরা সুন্দরবনকে নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহন করি তবেই আমরা এগোতে পারবো। সুন্দরবন কে কেন্দ্র করে আমরা কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করেছি সাথে সাথে আমরা এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আমাদের যে জনশক্তি আছে সেটাকেও আমরা ব্যবহার করার চেষ্টা করছি। সাথে সাথে আমদের যে কৃষ্টি কালচার, আমাদের যে ঐতিহ্য, আমাদের ইতিহাস এটি ও সংরক্ষনের কাজ করছি। যারই ফলশ্রুতিতে আমরা এখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার করতে পেরেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের কিছু বধ্যভূমিতে ও কিছু নিদর্শন করার চেষ্টা করছি। যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই ইতিহাস ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। সুন্দরবন বার্তা : ভবিষ্যতে আরো কি কি পরিকল্পনা আছে ? ইউএনও : ভবিষ্যতে আমরা যেটা করতে যাচ্ছি সেটা হলো এই অঞ্চলের একটি Geo reference আমরা তৈরি করতে যাচ্ছি। আমরা একটি মোবাইল Apps এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের Geo reference করতে চাচ্ছি। এই অঞ্চলে যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি আছে তাদের জন্য আমরা স্বল্প মূল্যে কিভাবে বা একেবারে সরকারি অনুদানের এর বাইরে গিয়ে বিদ্যমান অনুদানের মধ্যে দিয়ে কিভাবে তাদের ঘর বাড়ি বানিয়ে দেওয়া যায়। সরকারী যে সম্পদ গুলো আছে সে গুলো কি ভাবে সুষ্ঠ ব্যবহার করা যায়। আমরা এক জায়গায় যদি সবগুলো করি যেমন আমরা সোলার পল্লী করেছি সব সোলার এক অঞ্চলে নিয়ে গেছি। এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ একটি সমস্যা। বিদ্যুৎ কে গ্রহণযোগ্য করার জন্য কৈখালীতে সোলার প্যানেল করার একটি সিদ্ধান্ত আমরা সরকার কে জানিয়েছি। আমরা আশাকরি যে এ অঞ্চলে যে বিদ্যুৎ প্রয়োহন তার চাহিদা মিটিয়েও সোলার বিদ্যুৎ জাতিয় গ্রিডে যাবে এটা নতুন একটি Concept আমরা রীতিমত কৈখালীতে যাদুকপুর মৌজাতে প্রায় ৬০ একর জায়গা পড়ে আছে ওখানে কাজ করার জন্য সরকার কে প্রস্তাব দিচ্ছি। এ অঞ্চলের অধিকাংশ কর্মকান্ড সুন্দরবন কেন্দ্রিক। আমরা তাদের সুন্দরবন এর বাইরে নিয়ে এসে কাজ করানোর চেষ্টা করছি। আমরা কাকড়া চাষ করতে চাচ্ছি, কৃষির কিছু নতুন উদ্ভাবনী তাদের কাছে পেশ করতে চাচ্ছি। কিছু দিনের মধ্যেই শ্যামনগর উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কিছু এনজিও এর সহায়তায় একটি কৃষি Technology park হতে যাচ্ছে। আমরা মাছ চাষিদের একটি প্রকল্প সরকারকে জানিয়েছি এ অঞ্চলে কাকড়ার রেনু পোনা করা যায় কি না। ওটা যদি আসে। তাহলে এ অঞ্চলের ব্যাপক পরিবর্তন হবে। এই কাকড়া আমরা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। পর্যটনের কিছু কাজ আমরা করছি। ভবিষ্যতেও কিছু কাজ আমরা নিচ্ছি। আমরা দেখছি এ অঞ্চলের জনশক্তি সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যে বেশি যায়। সে কারনে তাদেরকে মধ্যপ্রাচ্যের অনুযায়ী তৈরি করার জন্য উপজেলা পরিষদের সাথে আরবী প্রশিক্ষন কেন্দ্র খুলতে যাচ্ছি। মধ্যপ্রাচ্যের কৃষ্টি কালচার প্রশীক্ষণ দেওয়া হবে। এক মাসের কোর্স করানো হবে। আগামি ডিসেম্বর নাগাদ আমরা এ ট্রনিং সেন্টার এর উদ্বোধন করবো। সুন্দরবন বার্তা : এ অঞ্চলে কাজ করতে আপনি কি কি ধরনের চ্যালেজ্ঞের সম্মুখীন হতে হয়েছেন? ইউএনও : আসলে চ্যালেঞ্জ বলতে সেটা বোঝায় যেটা অতিক্রম করা যায় এবং অতিক্রম করতে তেমন কষ্ট পেতে হয় না। সে গুলোকেই চ্যালেজ্ঞ বলা হয়। এখানে চ্যালেজ্ঞ বলতে, এই অঞ্চলের লোকজন কে Motivat করতে একটু চ্যালেজ্ঞ মনে হয়েছে যদি তাদের কে বোঝান যায় তবে তারা কাজ করতে পারে। আর তেমন চ্যালেজ্ঞ মনে হয় নি। সুন্দরবন বার্তা : আপনার দৃষ্টিতে শ্যামনগরের সম্ভবনাময় দিক গুলো কি? ইউএনও : সম্ভবনার দিক হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ পরিশ্রমী। প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করার শক্তি তাদের আছে। এই শক্তি তাদের একটি গুন। আর একটি হচ্ছে Natural Beauty সুন্দরবন। এটি আমাদের একটি সম্পদ। মৎস একটি সম্পদ, এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ একটি সম্পদ। এখানে ১২ হাজার একর খাস জমি আছে। এটাকেও যদি আমরা সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারি তো এটিও সম্পদ এবং প্রচুর পরিমান খাল বিল আছে সেটিও সম্পদ। আমাদের কৃষ্টি, কালচার, এ অঞ্চল রাজা প্রতাপাদিত্তের অঞ্চল। এগুলো যদি আমরা Explore করতে পারি এটাও সম্পদ ও সম্ভাবনার একটি বড় দিক। সুন্দরবন বার্তা : আর সমস্যার দিক গুলো কি? ইউএনও : সমস্যা প্রথমেই যেটা বলতে হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, দ্বিতীয়ত বিদ্যুৎ সমস্যা। এই সমস্যার কারনে এই অঞ্চলে শিল্পায়ন হচ্ছে না। এ অঞ্চলের নোওয়াবেকিকে বলা হয় শিল্প অঞ্চল। আমরা নোওয়াবেকিকে শিল্প শহর করার জন্য সরকার কে চিঠি দিয়েছি। আমরা আশা করছি এটা হয়ে যাবে। এছাড়াও সমস্যা আনেক কঠিন যে গুলো আমার পক্ষে সম্ভাব না, ছোট স্কেলে সম্ভাব না, উপজেলার অল্প অল্প সম্পদ দিয়ে যে গুলো মেটান সম্ভব না। তার মধ্যে লোনাপানি অবশ্যই এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সুন্দরবন বার্তা : সীমান্ত অঞ্চল হওয়ায় এখানে চোরাচালন ও মাদকদ্রব্যের প্রভাব বেশি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আপনি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন? ইউএনও : চোরাচালান বলতে মাদকই আসে এখানে তা ছাড়া চোরাচালান বলতে কিছুই হয় না। অনেক অঞ্চলের চেয়ে আমাদের এই অঞ্চল অনেক Safe তবে মাদকের জন্য যেটা করছি Crash program চলছে। মোবাইল কোর্ট চলছে। আমাদের বিজিবি, কোচগার্ড ও পুলিশ তৎপর আছে। আমি আশা করি অন্য অঞ্চলের চেয়ে আমরা ভালো করছি এবং করবো।
সুন্দরবন বার্তা : সাম্প্রতিক উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও শ্যামনগর ছিল স্বাভাবিক, এটা কি ভাবে সম্ভব হয়েছে। ইউএনও : আসলে এটি কোন বিভাগের একক কৃতিত্ব না। এটা সকলের প্রচেষ্টায়। আসলে এটি আমাদের জনগনের জন্য সম্ভব হয়েছে, তারা শান্ত ছিল। সবাই শান্তি চায় তার সবাই এক হয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তি বৃন্দ, আমাদের এম পি মহোদয়, আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিরা, আমাদের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সবাই শান্ত থাকার জন্য কাজ করেছেন। সে জন্য তার ফল আমরা বেশি পেয়েছি। আমরা চাই এটা বজায় থাকুক এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ পরিস্থিতি উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের এলাকার উন্নয়ন ও আমরা চাই। সুন্দরবন বার্তা : শ্যামনগর এর মানুষ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি ? ইউএনও : শ্যামনগর এর মানুষ খুব বন্ধু সুলভ এবং তারা খুব পরিশ্রমি। তারা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করতে ভালবাসে। চ্যালেজ্ঞ কে সহজে গ্রহন করতে ভালবাসে। তারা সংকৃতিক প্রিয় খেলাধুলা প্রিয়। এদের যদি সঠিক নেতৃত্ব দেয়া যায় তবে শ্যামনগর এর জনগনকে আমরা জনসম্পদে পরিনত করতে পারবো। সুন্দরবন বার্তা : শ্যামনগর এর মানুষ আপনাকে ভালোবাসে, আপনিও নিশ্চই বাসেন। ভলোবাসার এই বন্ধন আরো দৃঢ় হবে কিভাবে ? ইউএনও : অমি শ্যামনগরে চাকুরি করি যখন তখন শ্যামনগর এর মানুষের প্রতিবেশি। তাই প্রতিবেশি প্রতিবেশিকে ভালোবাসবেই, আর ভালো না বাসলে তো আর এক সাথে চলা যাবে না। আমি চেষ্টা করি এবং সবাই আমাকে সহায়তা করে বলেই কাজকর্ম সহজ ভাবে করতে পারি। আগামীতে কাজ করার মাধ্যমে তাদের সাথে পরিচয়ের মাধ্যমে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে এবং এটাই তো সম্পক দৃঢ় হওয়ার পন্থা। সুন্দরবন বার্তা : শ্যামনগর এর একমাত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল সুন্দরবন বার্তা ডটকম। এ অঞ্চলের উন্নয়নে এটি কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন। ইউএনও : শুনে খুব ভলো লাগলো। সবাই শ্যামনগর কে চেনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্ সুন্দরবনের জন্য, আর একটি হলো দুর্যোগ বিধস্ত জনপদ হিসেবে। তার মধ্যে মাঝে মাঝে সৃজনশীল কাজ হয় এবং একটি অনলাইন পত্রিকা হয়েছে যারা করেছেন তাদের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকার যেটা মনে করে সেটা হলো জ্ঞানই জীবন। এই জ্ঞান যদি সঠিক সময় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে মানুষ কে দেওয়া যায় তাহলে ওটা কিন্তু তার জন্য জ্ঞান। সেইজ্ঞান যদি সে ব্যবহার করতে পারে তবে তার জীবন উন্নত হবে। যেমন- আমাদের এখানে ঝড় হবে, এ তথ্যটা যদি সঠিক সময়ে মানুষ কে জানাতে পারা যায় এবং জানার পর ঝড়ের কবল থেকে তারা বাঁচতে পারল। বাঁচতে পারলেই তারা কিন্তু সম্পদে পরিনত হবেন। এজন্যOnlineএর মাধ্যমে Latest খবর গুলো যদি দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে তাহলে এটা অনেক উপকারে আসবে। আমি মনে করি আপনাদের জন্য যেটা চ্যালেঞ্জ সেটা হলো মানুষের কাছে কত দ্রুত আপনারা পৌঁছাতে পারেন। আমি আশাকরি আপনারা খুব দ্রুত পৌঁছাতে পারবেন এবং আপনাদের উদ্দেশ্য সফল হবে। সুন্দরবন বার্তা : এ উদ্যোগকে আপনি কিভাবে দেখছেন ? ইউএনও : বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরনের উদ্যোগ প্রসংশনীয়। আমরা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে আছি। যদি আমাদের কোন প্রয়জন হয় টেকনিক্যাল বিষয়ক, আপনারা জানাবেন। আপনারা জানেন যে এখানে আগে 3G ছিল না। আমি আসার পর দুইটি কোম্পানির সাথে কথা বলে 3G ব্যবস্থা করেছি। আমরা উপজেলায় Wi-Fi এর ব্যবস্থা করছি। আপনারা যদি চান তো আপনাদের সংবাদিক দের কিছু টেকনিকাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। সুন্দরবন বার্তা : অনেক ব্যাস্ততার মধ্যেও আমাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউএনও : ধন্যবাদ আপনাদেরকেও। আমাকে এই সাক্ষাত্কার নিয়ে সম্মানিত করার জন্য। আমি আশা করি আপনাদের এই উদ্যোগ সফল হোক। আপনারা শ্যামনগর কে এই অনলাইন বার্তা sundarban barta এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করবেন। সাথে সাথে আমাদের উন্নয়ন মুলক কাজ। আমাদের গঠন মুলোক সমলাচনা আমরা প্রত্যাশা করছি।

চুনা নদীতে নৌকা বাইচ

এস কে সিরাজ: সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরের চুনা
নদীতে আজ বিকালে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার শুভ উদ্ধোধন করেন,সাতক্ষীরা-৪ আসনের এম পি এস এম জগলুল হায়দার। উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকদের সামনে বর্তমান সরকারের স্বরনীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড ও শ্যামনগর জনপদের আইন শৃংখলার উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধান অতিথী সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার বলেন সর্ব ক্ষেত্রে আমি আপনাদের পাশে আছি। আমি আপনাদের সেবক হিসাবে কাজ করে যেতে চাই। এসময় ১০/১২ টি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।কয়রার নৌকা প্রথম ও গাবুরার ও সাতক্ষীরার সম্নয় নৌকা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। তাদের কে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়।বুড়িগোয়ালীনি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বাবু অসীম কুমার জোয়াদ্দার এর সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথী ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন, সংসদ সদস্যের সহধর্মিণী মিসেস ফাতিমা হায়দার,সাতক্ষীরা নারী শিশু আদালতের বিশেষ পিপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এ্যাডঃ জহুরুল হায়দার বাবু, প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবীর, কাশিমাড়ী ইউ পি চেয়ারম্যান গাজী আনিসুজ্জামান আনিস,কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সহ আওয়ামীলীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠন, সাংবাদিক বৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও লক্ষাধিক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে প্রধান অতিথীর সফর সঙ্গী হিসাবে শ্যামনগর মটর শ্রমিকরা দেড় শতাধিক মটর সোভা যাত্রার মাধ্যমে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাকে আরো ত্বরানিত্ব করে। এছাড়া শ্যামনগর,কয়রা, ও কালিগন্জ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করে।।

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্ধোধন করলেন এম পি জগলুল হায়দার

এস কে সিরাজ: আজ সকালে শ্যামনগর হাসপাতাল চত্বরে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্ধোধন করলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এম পি, শ্যামনগরের সাড়ে লক্ষ মানুষের আস্তাভাজন অভিভাবক এস এম জগলুল হায়দার। এসময় তিনি উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন,ভিটামিন এ খানোর মাধ্যমে আপনার বাচ্ছাকে সুস্থ রাখুন,এছাড়া শিশু মৃত্যুর কবল থেকে প্রত্যেক সন্তানকে রক্ষা করতে হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্থাথ্য ওপঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সন্তোষ কুমার সরদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবর কবীর, ভারপ্রাপ্ত আরম ডাঃ সুজিত রায়, ডাঃ আশরাফুল আলম, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সাংবাদিক এস কে সিরাজ, ছাত্রনেতা জাহিদ হাসান, এম পির সহকারী আশরাফ হোসেন, সাবেক মেম্বর রামকৃষ্ণ মন্ডল।
৬-১১ মাস নীল রঙের ভিটামিন ও ১২-৫৯ মাস বয়সীকে শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ক্যপসুল খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়।।

পশ্চিম সুন্দরবনে নয় জেলে আটক

নীলেশ গায়েন: সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবনের গহীনে ভ্রমন নিষিদ্ধ এলাকায় কাঁকড়া আহরণ করার সময় স্মার্ট পেট্রোল টীম ৯ জেলেকে আটক করেছেন উপকুল থেকে ১২ কিঃ মিঃ ভিতরে সুন্দরবন ও নোটাবেকী বন টহল ফাঁড়ির সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বঙ্গপোসাগর সংলগ্ন ৫৫ নং কম্পার্টমেন্টের আওতায় হলদেবুনিয়া নামক স্থান থেকে জেলেদের আটক করা হয়। আটককৃত জেলেরা হলো টেংরাখালী গ্রামের আবুল গাজীর পুত্র আব্দুর রউফ, মৃতঃ জামির শেখের পুত্র মজিদ মোল্যা, নুর আলী গাজীর পুত্র মজিদ গাজী, মজিব ভাংগীর পুত্র জাকির ভাংগী, আনছার ঢালীর পুত্র আজিজুল ঢালী, মৃতঃ হাফিজুদ্দীন গাজীর পুত্র আবুল হোসেন গাজী এবং শ্যামনগরের ২ নং কাশিমাড়ী ইউনিয়নের মজিদ তরফদারের পুত্র মতিনুর ও সাইফুল ইসলাম। বুড়িগোয়ালিনী বন ষ্টেশন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, সুন্দরবনে স্মার্ট পেট্রোল টীম ও নোটাবেকী বন টহল ফাঁড়ির কর্মরত সদস্যরা বনের ভিতরে টহল দেওয়ার সময় দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে জেলেদের আটক করেন। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ৩ টি নৌকা ও কাঁকড়া ধরার জন্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নোটবেকী বন টহল ফাঁড়ির ওসি শেখ নুর ইসলাম বাদী হয়ে জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করেন।

১নং ভূরুলিয়া ইউনিয়নে হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন

অনাথ: আজ বাবু কিরণ শংকর চট্টোপাধ্যায় এর সভাপতিতে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট ১নং ভূরুলিয়া ইউনিয়নে হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও শ্যামনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক বাবু অসিম কুমার মৃধা।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগর শাখার সদস্য সচিব বাবু জয়দেব বিশ্বাস।জেলা কমিটির সদস্য বাবু বিষ্ণু পদ মন্ডল, বাবু রনজীত দেবনাথ,বাবু ভবতোষ মন্ডল,মৃনাল কান্তি ঘোষ সহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ।নতুন কমিটির সদস্য বৃন্দ হলেন- সভাপতি- ১.বাবু মৃনাল কান্তি ঘোষ ২.বাবু ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডল ৩.বাবু অনুপ কুমার মন্ডল সাধারন সম্পাদক- বাবু স্বপন কুমার মন্ডল। সাংগঠনিক সম্পাদক - বাবু উৎপল কুমার মন্ডল কোষাধ্যক্ষ- বাবু সাধন কুমার মন্ডল সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায়।

সোনাখালী সর্বজন কৃষ্ণ মন্দিরে দামুদারব্রত মাস ব্যাপী অনুষ্টানে হায়দার

এস কে সিরাজ: সোনাখালী সর্বজন কৃন্ষ মনদ্বিরে দামুদারব্রত মাস ব্যাপী অনুষ্টানে বাবু গোপাল চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে ধর্মীয় সমাবেশে প্রধান অতিথী ছিলেন,সাতক্ষীরা নারী শিশু আদালতের বিশেষ পিপি এ্যাডঃ জহুরুল হায়দার বাবু। এসময় বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবর কবীর, প্রভাষক জুলফিকার আল মেহেদী লিটন, রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ফজলুল হক মোড়ল, ভুরুলিয়ারর সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা সৈনিকলীগের সভাপতি সাংবাদিক এস কে সিরাজ, স্বেছাসেবকলীগের যুগ্ন সম্পাদক রেজয়ান আজাদ নিপুন।সোনাখালী গ্রামের সমাজসেবক পতিত বপনের বিশেষ ব্যাবস্থাপনায় আপ্যায়ন পর্ব শেষ হয়।

সুন্দরবন উপকুলীয় শ্যামনগরকে ঘিরে পর্যটনশিল্প গড়ে তোলার দাবী করলেন এম পি জগলুল হায়দার

এস কে সিরাজ: বহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরায় জেলা প্রসাশনের আয়োজনে প্রসাশনিক কর্মকর্তা, সাংসদ সদস্য সহ জনপ্রতিনিধি সহ গুরুপ্তপুর্ন ব্যাক্তিদের সভায় প্রধান অতিথী বে- সরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা-৪ আসনের এম পি এস এম জগলুল হায়দার সুন্দরবন কে ক্রেন্দ্র করে দেশের বৃহত্তম শ্যামনগর উপজেলাকে পর্যটনশিল্প হিসাবে গড়ে তোলার দাবী করেন।এসময় সুন্দরবনের মায়াবি হরিন আর বাঘের অস্তিত্ব ঘেরা সুন্দরবন হতে পারে পৃথিবীর সেরা পর্যটনশিল্প। সরাসরি স্থল পথ দিয়ে সুন্দরবনের এ মনোরম পরিবেশ উপভোগ বাস্তব চিত্র বিস্তরকারে তুলে ধরেন মাননীয় মন্ত্রীর নিকট।অবশেষে সুন্দরবন ও সুন্দরবন ঘেষা শ্যামনগর কে দ্রুত পর্যটনের আওতায় আনা হবে এ প্রতিশ্রুতি আদায় করে মাননীয় মন্ত্রী মহাদ্বয়কে সুন্দরবন ভ্রমনের বিশেষ অনুরোধ করেন।

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

শ্যামনগরে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

এস কে সিরাজ: শ্যামনগরের প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্ম গাজী মৃত্যু বরন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধায় হঠাৎ মৃত্যুর খবর মোবাইল ফোনে শুনেই শত ব্যস্ততা উপেক্ষা করে ছুটে গেলেন,সাতক্ষীরা-৪ আসনের এম পি এস এম জগলুল হায়দার সুন্দরবনের পাদদেশে অবস্থিত কলবাড়ী গ্রামের প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা নুরমোহম্মদ গাজীর মৃত্যু পাশে। দীর্ঘদিনের এক সাথে চলার সাথীকে আর কোন দিন দেখতে পাবেন না। তাই তিনি এসময় কান্নায় ফেটে পড়েন।এসময় এমপি মহাদ্বয় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং রাজনৈতিক বন্ধুর আত্বার মাগফিরাত কামনা করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন,শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবর কবীর,প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সাংবাদিক সালাউদ্দীন বাপপী, রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ফজলুল হক মোড়ল, স্বেছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান,সৈনিকলীগের সভাপতি এস কে সিরাজ, সাবেক মেম্বর রামকৃষ্ণ মন্ডল, সহকারী আশরাফ হোসেন।।

ঐতিহাসিক মন্দির দর্পন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নীলেশ গায়েন: বাংলাদেশের প্রাচীন মন্দির যশোরেশ্বরী কালী মন্দির, শ্যামা পুজা উপলক্ষ্যে কার্তিকী অামাবশ্যার নিকসকালো আঁধারের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এবং পুলিশ সুপার চৌধুরী মজ্ঞুরল কবীরের ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী পীঠ মন্দিরে আগমনে পুলকিত হয় ওঠে আগত হাজারো ভক্ত দর্শণার্থী। এ সময় মন্দির অঙ্গনে দাঁড়িয়ে গবেষক অরবিন্দ মৃধার লেখা ‘ঐতিহাসিক মন্দির দর্পণ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। এর আগে শ্যামনগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসীন-উল-মুলক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্য বহনকারী এই প্রাচীন যশোরেশ্বরী মন্দির সংস্কারে সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও যশোরেশ্বরী মন্দিরের অধিকারী জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, তার ভাই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও লেখক গবেষক জ্যোতি চট্রপাধ্যায়, গ্রন্থকার অরবিন্দ মৃধা বক্তব্য রাখেন। চৌধুরী মনজুরুল কবীর বলেন, অমাবশ্যার কালোর মত অন্ধকারকে আলোকিত করার প্রতিকী হিসবে এই দিপাবলী ও শ্যামাকালী পূজা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। অন্ধকার আমাদের কাম্য নয়। জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, দিপাবলী, শ্যামাকালী, লক্ষিপুজা, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব গুলি একই সূত্রে গাঁথা। এই যশোরেশ্বরী মন্দির এ অঞ্চলের প্রাচীন জনবসতির ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি বহন করছে, এর সংস্কার ও সংরক্ষনের ব্যাপারে আমরা যত্নবান থাকব। গত ১০নভেম্বর মঙ্গলবার রাতের শেষ প্রহরে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগরের এ সি (ভূমি) আহসান উল্লাহ শরিফী, সার্কেল অফিসার (কালিগঞ্জ) মীর মনির হোসেন সহ শ্যামনগর কালিগঞ্জ দেবহাটা সাতক্ষীরার পুলিশ কর্মকর্তাগন।

জে এস সি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন এম পি

এস কে সিরাজ: অাজ নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সরকারী মহসীন ডিগ্রী কলেজ, ও নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ( জেএসসি) পরীক্ষা পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা - ৪ অাসনের সংসদ সদস্য এস, এম জগলুল হায়দার। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময়ের মাধম্যে তাদের পরিক্ষা সহ লেখা পড়ার খোজ খবর নেন। এছাড়া কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি সকল শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের সফল জীবন কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবীর,ছাত্রলীগ নেতা মোঃ জাহিদ হাসান,সহকারী মোঃ আশরাফ হোসেন,সাবেক মেম্বর রামকৃষ্ণ মন্ডল প্রমুখ।

বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫

নুরনগরে শ্যামা কালীপুজা মন্ডপ ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন এম পি

এস কে সিরাজ: আজ বুধবার সন্ধায় নুরনগর বাজার এলাকার দিপাবলী শ্যামা কালীপুজা মন্ডপ ভাংচুরের ঘটনায় ওই এলাকা পরিদর্শন করলেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের এম পি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম জগলুল হায়দার। এসময় তিনি স্থানীয় সনাতনধর্মালম্বী সহ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে বলেন,প্রতিমা ভাংচুরের সাথে যারা জড়িত থাক, তাদেরকে অবশ্যই খুজে বের করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। গত সোমবার রাতে কে বা কারা ওই প্রতিমা ভাংচুর করে। নুরনগরের দিপাবলী শ্যামা কালিপুজা ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর কবীর, প্রভাষক জুলফিকার আল মেহেদী লিটন, সাবেক যুবলীগের সম্পাদক প্রভাষক মোঃ মোশরাফ হোসেন, নুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি,সম্পাদক সোহেল রানা, মুক্তিযোদ্ধা আঃ মজিদ,রতনপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ খোকন, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হোসেন, আশরাফ হোসেন, সাবেক মেম্বর রামকৃষ্ণ মন্ডল প্রমুখ।

শ্যামনগরে শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মেলা

নীলেশ গায়েন: “শিশু গড়বে সোনার দেশ-পায় যদি সে পরিবেশ”এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার বংশীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা এলসিবিসিইর সহায়তায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শিশু মেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে র‌্যালী, চিত্রাঙ্কন, গান ও কুইজ প্রতিযোগিতা শেষে ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম সাদেকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলাচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ এর খুলনা বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার, প্ল্যানিং এন্ড মনিটরিং আমানউলাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শচিদ্র নাথ,ওয়াসিম উদ্দিন,উপজেলা এলসিবিসিই কর্মকর্তা আসাদ,বংশীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকিকুর রেজা বাবু, হুমায়ন কবীর, সেলিম প্রমুখ। মেলায় উপজেলার ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেদ্র, উপজলা জনস্বাস্থ্য প্রকৗশল অধিদপ্তর,উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্টল প্রদর্শন করে। আলোচনা সভায় বক্তারা বাল্য বিবাহ বন্ধ,জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী, শিশু শিক্ষা,স্যানিটশন সহ অন্যান্য বিষয়ে আলাচনা করেন।

শ্যামনগর কমিউনিটি পুলিশিং ফারাম এর কমিটি গঠন

নীলেশ গায়েন: পুলিশ জনগন পরস্পরের বন্ধু। জনগণের সহায়তা ছাড়া সফলতা অর্জন করা যায় না। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে বিশেষ করে মদ,জুয়া, গাজা, ফেন্সিডিল, চাঁদাবাজ, দাঙ্গাবাজ, জলদস্যু ও বনদস্যু দমনে পুলিশ বাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতা করার লক্ষ্য শ্যামনগর উপজলার ০৪ নং নূরনগর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং ফারাম এর কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে সর্বসম্মতি ক্রমে দুরমুস খালী গ্রামর মৃতঃ নির্মল চদ্র মন্ডল এর পুত্র অবঃ শিক্ষক কৃষ্ণপদ মন্ডলকে সভাপতি এবং উত্তর হাজিপুর গ্রামের ডাঃ আয়ুব আলীর পুত্র শেখ আল-মাসুদকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট  ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়।

মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫

কালী মন্দিরে দিপাবলী উৎযাপন


অনাথ মণ্ডল: আজ মহা দিপাবলী উৎযাপন উপলক্ষ্যে শ্যামনগরের ঐতিহ্যবাহী যশোর ঈশ্বরীপুর কালী মন্দির পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ নাজমুল হাসান ও তার পরিবারপরিজন। আরও উপস্হিত ছিলেন- সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ এনামুল হক,বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন উল-মূল ও ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাদেকুর রহমান। 

উক্ত অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন আমি এখানে আসতে পেরে  নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দির বহু পুরাতন এটা যাতে নষ্ট না হয় এবং সংস্কার করার জন্য যথা সাধ্য চেস্টা করব।

শ্যামনগর সদরে অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার পিচ সুন্দরবনের গরান কাঠ আটক


এস কে সিরাজ: আজ মঙ্গলবার সকালে শ্যামনগর সদরের ক্রেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা প্রসাশন ও বনবিভাগ যৌথভাবে ৬ হাজার পিচ সুন্দরবনের গরান কাঠ আটক করেছেন। এঘটনায় বনের অবৈধ কাঠ এনে ব্যাবসা করার জন্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ( এসিল্যান্ড) আহসান উল্লাহ শরিফী ও সাতক্ষীরা রেন্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ সোয়েব খান এর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। 


শ্যামনগরে শহীদ নুরহোসেন দিবস পালিত


এস কে সিরাজ: মঙ্গলবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্য্যালয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবীরের সভাপতিত্বে শহীদ নুরহোসেন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথী ছিলেন,সাতক্ষীরা নারী শিশু আদালতের বিশেষ পিপি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক  এ্যাডঃ জহুরুল হায়দার বাবু। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,  আওয়ামীলীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জুলফিকার আল মেহেদী লিটন, সাবেক যুবলীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মোঃ মোশরাফ হোসেন, ভুরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সৈনিকলীগের সভাপতি এস কে সিরাজ, যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুস সালাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শ্যামনগরে ওপেন হাউজ- ডে

এস কে সিরাজ: শ্যামনগর মাইক্রো বাসস্টান্ডে  থানা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত ওপেন হাউজডেতে সাতক্ষীরার সফল পুলিশ সুপার চৌধুরী মন্জুরুল কবীর।আজ রোববার বিকালে শ্যামনগরের আইন শৃংখলা বজায় রাখার লক্ষে শান্তিপুর্ন শ্যামনগরেরর পরিবেশ অব্যহত রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে আইন শৃংখলা, বনদস্যু নিধন, চাদাবাজদের রুখতে এবং নানা বিধ প্রশ্ন ছিল উপস্থিত সাধারন মানুষের। সুন্দর ও স্বাবলীলভাবে পুলিশ সুপার মহাদ্বয় সকল প্রশ্নের উত্তর দেন।তিনি সুচিন্তিত মতামতের মাধম্যে সকল প্রশ্নের সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন।শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হকের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,সাবেক এম পি একে ফজলুল হক,উপজেলা পুলিশিং কমিটির  সভাপতি আফজালুল হক,কালিগন্জ সার্কেল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন, সহ মুক্তিযোদ্ধা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ  সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, পুলিশিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সুধীমহল।অনুষ্টান শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।