স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কবিতা নার্স ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিক অরবিন্দ মৃধার কলেজ পড়ুয়া কন্যা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যার অভিযোগে শ্যামনগর থানায় মামলা হয়। এঘটনায় পুলিশ এজাহার ভুক্ত এক আসামীকে শ্যামনগরের একটি দোকান থেকে আটক করে। ঘাতকরা নিরহ কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে হত্যার পর সুমিত্রার বাবা মাকে ও হত্যার হুমকি দেয় মোবাইল ফোনে। এক পর্য্যায়ে কলেজ পড়ুয়া প্রিয় সুমিত্রার মৃত্যুর শোক শেষ নাহতেই নিজের ঘরবাড়ী ছেড়ে, শ্যামনগর হাসপাতাল কর্মস্থলে আশ্রয় নেয়, সুমিতার বাবা সাংবাদিক অরবিন্দ মৃধা ও মা কবিতা নার্স। হত্যার ১ মাস পার হতে না হতেই কবিতা নার্স ও অরবিন্দ মৃধার এক মাত্র শিশু পুত্র সন্তান কে হারানোর অাশংকায় অসহায় পরিবারটি শ্যামনগর ছেড়ে খুলনায় যেতে বাধ্য হয়। এদিকে পুলিশ মামলা নেয়ার পরপরই একজন আসামী কে আটক করলেইও অন্য আসামীরা থাকে ধোরা ছোয়ার বাহিরে।
সম্প্রতি এজাহার ভুক্ত আসামী আমিনুর ইসলাম ( মেম্বর), ও তপন কুমার মন্ডল হাইকোর্ট থেকে ৩ সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসলেই তাদের নিম্ম আদালতে হাজীর হওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্ত আসামীরা হাজির না হয়ে মোটা টাকার বিনিময় পোষ্টমটেম ( সুরাত হাল) রিপোর্ট টি তাদের পক্ষে নেয়ার জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করেছে বলে বাদী অরবিন্দ মৃধা জানান। এদিকে শ্যামনগর থানার এস আই আমিনুর রহমান ও নিহত সুমিত্রা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এ মামলার আসামীরা বর্তমানে কেউ জামিনে নেই, সুতারং আসামীদের আটকের ব্যাপারে পুলিশ সব সময়ে তৎপর অাছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আসামীরা যতই শক্তিশালী অবশ্যই তাদেরকে আটক করা হবে। তবে মামলাটি গুরুপ্তপুর্ন হওয়ায় এবং অধিক্তর তদন্তের স্বার্থে ডি বিতে যেতে পারে। সাংবাদিক অরবিন্দ মৃধা তার মেয়ে হত্যার দাবীতে তিনি পুলিশ সুপার মহাদ্বয়, শ্যামনগর অফিসার ইনচার্জ, তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট্য কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে ঘাতকদের দ্রুত আটকের দাবী করেছেন। ১ নং আসামী সহ উল্লেখ যোগ্য আসামীরা এলাকায় নিজেদের আত্বীয় স্বজনদের বাড়ীতে মাঝে মধ্যে আশ্রয় নিয়ে থাকছে বলে বাদী দাবী করেছেন।এদিকে সুমিত্রার কলেজ পড়ুয়া বন্ধুরা সহ শ্যামনগরের সচেতন মহল ঘাতকদের আটক সহ বিচারের জোর দাবী তুলে শ্যামনগর, সাতক্ষীরা সহ কোর্ট এলাকায় পোষ্টার মেরে এবং প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে স্বোচ্ছার হয়ে উঠেছেন। ঘাতকদের আটক পুর্বক ফাসীর দাবীতে এ আন্দোলন চলছে বলে জানানো হয়েছে । প্রকৃত বিচার শুরু না হওয়া পর্যন্ত এ দাবী অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন